১০ জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মল করতে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ নবান্নর। এখন পাঁচতলা শপিং মল পুরোটাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পণ্যের। এই ভাবনাকে সামনে রেখে কলকাতার ঢাকুরিয়ার কাছে দক্ষিণাপনের পাশে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য চালু হয়েছে নিজস্ব মল। এবার হস্তশিল্প থেকে আচার-পাঁপড়-মোরব্বা-সহ স্বনিভর্র গোষ্ঠীর হাত ধরে গড়ে ওঠা বাংলার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পজাত হাজারও সামগ্রীকে বাজার তৈরি করে দিতে জেলাতেও অনুরূপ মল তৈরি করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য বাংলার নিজস্ব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে পর্যটকদের সামনে ‘শো-কেস’ করা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের তাঁত, বস্ত্রশিল্প, হস্তশিল্পকে শো-কেস করতে চান। এজন্য পুজোর আগেই দুবাইয়ের মতো রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ কনভেনশান সেন্টার শো-কেস ওয়েস্ট বেঙ্গল হচ্ছে। ২০ সেপ্টম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আলিপুর জেল মিউজিয়ামের পাশে হিডকো একটি মল তৈরি করেছে। পুরোটাই বাংলার হস্তশিল্প ও তাঁত এবং চর্মজাত শিল্পকে নিয়ে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই সম্মেলনের আগেই এই শপিংমল গুলির তৈরির কাজ শুরু করতে চায় নবান্নের শীর্ষ মহল। সেই কারণে দশ জেলা শহরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য মল তৈরির জমি চিহ্নিত করার নিদেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদের। গত ১২ জুলাই ভারচুয়াল বৈঠকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছিল নবান্ন। এরপর মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা জেলাশাসকদের জানিয়ে দেন জমি চিহ্নিত করা দ্রুত প্রস্তাব পাঠাতে নির্দেশ দিলেন। এই জেলা শহরগুলি হল, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান,শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদা, চন্দননগর।
রাজ্যে এই মুহূর্তে গ্রামাঞ্চলে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৬ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষের বেশি। সবাই মহিলা। শহরাঞ্চলেও আরও কয়েক লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এদের প্রধান সমস্যা হল বিপণন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ শুরুতেই তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজার করতে সরকারি উদ্যোগে ব্র্যান্ড তৈরি করার কথা বলা হলেও বিশেষ এগোয়নি সে কাজ।
পর্যটক কেন্দ্রিক জেলা শহরে তাদের বাজার তৈরির করার প্রস্তাবও ছিল। কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতায় এই মল তৈরি করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। এজন্যই জেলাগুলিতে মল তৈরি করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্য থাকে।