রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। আজীবন সংস্কৃতি মনস্ক ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাংলা ব্যান্ড ‘ক্যাকটাস’-এর গায়ক সিধু। শোকপ্রকাশ করেন গায়ক নচিকেতাও।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ নচিকেতা বলেন, ‘ওঁনার সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। অনেক বিষয়ে আলোচনা করতাম। উনাকে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। মানুষ হিসেবে খুবই সত্ ছিলেন। আমার একটা গান আছে ‘আদিত্য সেন’। আজ এক আদিত্য সেন চলে গেলেন।’ নচিকেতার রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও বরাবরই বুদ্ধবাবুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অটুট।
শোকস্তব্ধ সিধুও জানান, ‘বুদ্ধবাবু চলে যাওয়াটা সত্যি সত্যি দুঃখের। যদিও ওঁনার বয়স হয়েছিল, উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এমন একটা সময় তো চলে যেতেই হয়। তবে ওনাকে আমি সারা জীবন মনে রাখব, বাঙালি সব সময় মনে রাখবে, কারণ একজন শিক্ষিত প্রশাসক, একজন রুচিশীল, শিল্পবোধ সম্পন্ন প্রশাসক হলে সাধারণ মানুষের মনে এক অন্যরকমের আত্মবিশ্বাস থাকে। বা, আমি শিল্পী, যতক্ষুদ্রই হই না কেন, আমি এক অন্যরকমের আত্মবিশ্বাস পেতাম, যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তিনিও রুচিশীল, তিনিও শিল্পবোধ সম্পন্ন এমন একজন ভদ্রলোক। অনেক দূর্নীতি নিয়ে সারা ভারতের নেতাদের প্রতি আঙুল তোলা হয়, তবে বুদ্ধদেব বাবুর ক্ষেত্রে এমন আঙুল তোলার কোনও প্রশ্নই ওঠেনি কোনওদিন। এমনই এক প্রশাসক তিনি ছিলেন, সেই সময়টা আমরা উপভোগ করেছি। সেজন্য ওঁনাকে সারা জীবন মনে রাখব।’
বুদ্ধদেববাবুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রূপঙ্করও। রূপঙ্কর জানান, ‘খুবই খারাপ লাগছে। ওনার মৃত্যু খুব দুঃখজনক। শেষ জীবনটা খুবই কষ্টের। একজন প্রকৃত মানুষ ছিলেন। আমার কাছে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম সেরা নেতা ছিলেন। সে জায়গা থেকে খুবই দুঃখজনক। নিজে যে জীবন যাপন করেছেন, সেটা ভীষণই সাধারণ মানের। সেটা আমরা সব সময় আদর্শ রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেখতে পাই, দেখতে চাই অন্তত। সে জায়গা থেকে ওনার প্রতি আগাধ শ্রদ্ধা আছে আমার। ওনার মৃত্যুতে ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’