বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এসেছেন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে এসে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই রবিবার দলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক হয় হেস্টিংসে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বঙ্গ বিজেপির নেতানেত্রীরা। তবে সূত্র মারফৎ খবর মিলছে, এদিনের এই বৈঠকে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপির হাইকম্যান্ডের তরফ থেকে।পাশাপাসি এও শোনা গেছে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের জনপ্রতিনিধিদের সংবাদ মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
এদিনের এই বৈঠকের পর সবাইকেই প্রায় মুখে কুলুপ আঁটতেই দেখা যায়। তবে এদিনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ছোট ছোট বিষয় নিয়ে দারুণ বলেছেন নড্ডাজি।’ অপর সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, ‘আমরা দিশা পেলাম।’ এদিনের এই বৈঠক শেষে বেরনোর সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘বাইট দেওয়া আমার কাজ নয়। এর জন্য রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য রয়েছেন।’ তবে কোথাও একটা অভিমানের সুর ধরা পড়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। বৈঠকের পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘আমি এখন আর কর্তৃপক্ষ নই। এসব নিয়ে বলার জন্য দলে অনের লোক আছে।’
এদিকে জেলা সভাপতি বদল নিয়ে বিতর্কের আঁচ এখনও রয়েছে বিজেপির অন্দর মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দলীয় নেতাদের বৈঠকে শনিবার কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। নেতাদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, মঞ্চে বড় বড় ভাষণ দিলেই হবে না। বরং বার্তা দিয়েছিলেন, নিজের নিজের এলাকায় সংগঠন মজবুত করার জন্য।