বহুকাল ধরেই শহরের বহু বড় বড় পুজোর উদ্যোক্তা রাজনৈতিক নেতারা। রাজনৈতিক ময়দানের চেনা ছবি ধরা পড়ে না দুর্গাপুজোর লড়াইয়ে। দুর্গাপুজো নিয়ে সম্মুখ সমরে একে অপরের।
একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো পরিচিত ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলেই। আর তার জন্য মানুষের ঢল নামতো গড়িয়াহাটে। আবার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষের পুজো বলে এখনও পরিচিত ছিল মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো। এই পুজো দেখতেও জনজোয়ার নামতো মধ্য কলকাতায়। তবে এঁরা বর্তমানে প্রয়াত। তবে এখনও তাঁদের নামেই পুজোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। তবে এক রাজনৈতিক নেতাকে জীবিত অবস্থাতেই সুকৌশলে ছেঁটে ফেলল পুজো কমিটি। সেই ক্লাবের নাম নাকতলা উদয়ন সংঘ আর নেতার নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয় রাজ্য সরকার। দলের মহাসচিব পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। ২০২২-এর পুজোতেই নাকতলা উদয়ন সংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে পুজোর জৌলুসে কোনও ভাটা পড়বে না। সত্যিই তেমন কিছু হয়ওনি। বেশ জাঁকজমক করেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন তারা। আর এবার তাঁকে একেবারেই ছেঁটে ফেলল পুজো কমিটি। নাকতলা উদয়ন সংঘের খুঁটিপুজোর দিন দেখা গেল পার্থর বদলে ক্লাবের মুখ্য উপদেষ্টার পদে টালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। এদিকে একসময় নাকতলা উদয়ন সংঘ বললেই উঠে আসত তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। দক্ষিণ কলকাতার এই জনপ্রিয় পুজো বিগত কয়েক বছর ধরেই পার্থবাবুর পুজো বলে পরিচিত। শুধু নামেই জুড়ে থাকা নয়, এই পুজোর সবরকম কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জুড়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু গত বছর থেকেই আমূল বদলে যায় ছবিটা। তাঁকে ছাড়াই ধুমধাম করে পুজো হয়।