কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে আগেই কেন্দ্রের নিরাপত্তা পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে এতে সন্তুষ্ট নন আইএসএফ বিধায়ক। নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল নওশাদকে। এই মুহূর্তে সাত জন সদস্যের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান নওশাদ। যা কার্যত ওয়াই ক্যাটেগরির মধ্যে পড়ে। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বিধায়ক। সেই কারণে আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন জানান তিনি।
নওশাদের দাবি, ওই এলাকার অন্য বিধায়করা জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পেয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজা শেখরমান্থা মন্তব্য করেন যে, ‘নিরাপত্তা বিষয়টি পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। তিন সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিক কেন্দ্র।‘
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। চলে গুলি। আর মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ে বোমাও। আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ তিনি। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে কেন্দ্রের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করেন। সেই মামলা শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন বিধায়কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে।