বঙ্গ রাজনীতিতে খাতা খুলল এনিসিপি

মহারাষ্ট্রে টলমল অবস্থার মাঝেই বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে খাতা খুলে ফেলল শরদ পাওয়ারের এনসিপি। গ্রাম বাংলা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয়ের জেরে বঙ্গ রাজনীতিতে ইনিংস শুরু এনসিপির। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে একটিতে জয় আস মঙ্গলবার। বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষিতে এনসিপির এই জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে শরদ পাওয়ার ও তাঁর দলের বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টায় শরদ পাওয়ারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কিন্তু সেই শরদ পাওয়ারের দলের হঠাৎ বাংলার রাজনীতিতে চলে আসা রাজ্য রাজনীতির উপর কতটা প্রভাব ফেলে আগামী দিনে, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। পঞ্চায়েত ভোটের মতো একটি জায়গা, যেখানে একেবারে স্থানীয় স্তরের দাবি-দাওয়াগুলি অনেক বেশি গুরুত্ব পায়, সেখানে এনসিপি কেন প্রার্থী দিল, তা নিয়েও জল্পনা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

এদিকে এমন এক সময়ে বাংলার ভোট ময়দানে এনসিপির জয় এল, যখন মহারাষ্ট্রে এক টালমাটাল অবস্থা। শরদ পাওয়ার নাকি অজিত পাওয়ার, দলের অন্দরে কার প্রভাব প্রতিপত্তি বেশি, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। সেই সব নিয়ে মহারাষ্ট্রে তথা জাতীয় রাজনীতিতেও বেশ অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে এনসিপি। উল্লেখ্য, এর আগে মমতার অপর এক ‘বন্ধু’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও বাংলার মাটিতে পা রেখেছে। নীচুতলায় সংগঠনও তৈরি হয়েছে অল্প বিস্তর। এখন দেখার এনসিপি কতটা সংগঠন বাড়াতে পারে বাংলার রাজনীতিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 3 =