সন্দীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে বেলেঘাটার প্রতিবেশীরাও

লাগাতার বাজাল কলিং বেল, ফোনেও মিলল না সাড়া। সাতসকালেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হল সিবিআই আধিকারিকদের। এতদিন ডাক পড়ছিল সিজিওতে, এবার একেবারে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। খবর চাউর হতেই ভিড় জমতে শুরু করেছে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়ির সামনে। ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই সন্দীপের বাড়িতে গেলেও প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ৮টা নাগাদ বাড়ির দরজা খুললেন সন্দীপ। এদিকে  সিবিআইয়ের সামনেই আছড়ে পড়ল জনতার ক্ষোভ। সন্দীপের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা বলেন, ‘খবর পেয়ে চলে এলাম। চাই এ ধরনের পাবলিক যেন দেশে না থাকে। এ রকম মানুষ থাকার থেকে না থাকাই ভাল।’ একই সুর পাশে দাঁড়িয়ে আর এক ভদ্রলোকের গলাতেও। স্পষ্ট ভাষায় জানান,  ‘এ লোকের শাস্তি চাই।’ তবে যে প্রশ্নটা সবার মুখে মুখে তা হল,  ‘এত বড় কাজ করেও খোলা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কী করে! সেটাই তো দেখছি। এদের ধরে ফাঁসি দেওয়া উচিত।’ আর একজন বলেন, ‘ম্যাজিক দেখতে এসেছি। পিসি সরকারের ম্যাজিক দেখেছি এবার এর ম্যাজিক দেখতে এসেছি। এ যে কী ম্যাজিক করেছে তা সারা বিশ্ব দেখছে। সিবিআই তদন্ত করে লাভ নেই। এর ফাঁসি দেখতে চাই।’

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই এর দুর্নীতি দমন শাখা সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। রুজু হয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির মামলা। একদিন আগেই আলিপুর আদালতে সেই এফআইআর এর কপি দেওয়া হয়। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তিলোত্তমা কাণ্ডের পরে সিট গঠন করেছিল রাজ্য। এই সিট গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আখতার। তাঁর দাবি ছিল, তদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তার আবেদেনে সাড়া দেয় কোর্ট। তারপরই তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =