সন্দীপ সম্পর্কে ভাল কিছু বলছেন না তাঁর প্রতিবেশীরাও

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আন্দোলনকারী চিকিৎসক বা ছাত্ররাই নন, মুখ খুলছেন আরও অনেকেই। এই সব ঘনটা ,সামনে আশার পর সন্দীপের পক্ষে মাথা তুলে সমাজে থাকা বড়ই দায় হয়ে যাবে তা মানছেন অনেকেই। কারণ, সন্দীপ সম্পর্কে এক প্রতিবেশী জানান, সন্দীপ ঘোষ তাঁর প্রথম স্ত্রীকে মারধর করতেন। এমনকী, সন্তান প্রসব করার ১৪ দিন পর স্ত্রীকে লাথি মেরেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে সন্দীপ ঘোষ যে বাড়িতে থাকেন সেখানকার প্রতিবেশীরাও তাংর সম্পরিকে মোটেই ভালো কোনও অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে পারছেন না। বরং বেশ খারাপ কিছুই শোনা যাচ্ছে এই সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে।

এদিকে এই সন্দীপের পাশে রয়েছে শাসক দল তা বলাই বাহুল্য। কারণ, আরজি কর-কাণ্ডের পর সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করলেও, তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়। তবে আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে আছেন তিনি। তাঁর পাড়ায় পৌঁছতেই প্রতিবেশীদের মুখে শোনা গেল নানা অভিযোগ।

এক প্রতিবেশী মহিলা বলেন, অনেকের সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করতেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, আজ এই ঘটনার পর তিনি অভিযোগ জানাচ্ছেন, এমন নয়। অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। ওই প্রতিবেশী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল যে আমি পুলিশকে জানাতে বাধ্য হয়েছিলাম। বাড়ির সামনে এমনভাবে গাড়ি রাখছিলেন, যে কেউ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন না। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথায় খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি। উল্টে উনি আমার স্বামীর নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।’

প্রতিবেশীর দাবি, পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলে, তারা বোঝাতে থাকেন, সন্দীপ ঘোষের সোশ্যাল স্টেটাস কেমন। ওই মহিলা বলেন, ‘ডাক্তার বলে সব মেনে নেব নাকি! কোভিডের সময় এক মহিলার সঙ্গে এমন খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। ওঁর মতো মানুষ আমরা চাই না এই পাড়ায়। এত বাজে মানুষ আগে দেখিনি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =