অগ্নিগর্ভ পদ্মাপার। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। সেখানে এই মুহূর্তে পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে বহু ভারতীয়ের বসবাস। তাঁদের জন্য এমারজেন্সি নম্বর চালু করল নয়াদিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যে অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে তাতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সকলকে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যে সকল ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। অপ্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। যে কোনও প্রয়োজনে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এর পাশাপাশি চালু করা হয়েছে জরুরিভিত্তিক ফোন নম্বর। +৮৮০১৯৫৮৩৮৩৬৭৯, +৮৮০১৯৫৮৩৮৩৬৮০ +৮৮০১৯৩৭৪০০৫৯১
যে কোনও প্রয়োজনে ওপার বাংলায় বসবাসকারী ভারতীয়রা এই নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবেন।
এদিকে, অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকা জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা করেছে BSF। ইতিমধ্যেই বিএসএফ-এর ডিজি পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। এর পাশাপাশি বিএসএফ-এর-এর একজন শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার পরই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। সোমবার শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন সে দেশের সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন। আমাদের দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। মানুষ মারা যাচ্ছেন। সংঘাতের মাধ্যমে আর নতুন কিছু আমরা পাব না। প্রতিটা হত্যার বিচার করা হবে। ভাঙচুর, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকুন। ধৈর্য হারাবেন না। আমি নিশ্চিত, আপনারা যদি আমাদের কথামতো চলেন, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তা হলে আমরা একটা সুন্দর পরিণতির দিকে এগোতে পারব।’