নয়া প্রতারণা চক্রের হদিশ কলকাতয়। অভিযোগ রিসর্ট বুক করতে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হলেন সোসান আলম নামে এক গৃহবধূ। খোয়া গিয়েছে তাঁর ২১ হাজার টাকা। সূত্রে খবর, পরিচিত থেকে এক ব্যক্তির নম্বর পেয়ে রিসর্ট বুক করার জন্য এই গৃবধূ ফোন করেন সোসানে। টাকা ট্রান্সফারের পর তিনি বোঝেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এরপরই বেনিয়াপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোসান আলম জানান, রিসর্ট বুকিং করতে গিয়ে ফোন করে তিনি এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভিলা বুকিংয়ের জন্য তিনি তাঁরই এক পরিচিতের থেকে পাওয়া ফোন নম্বরে ফোন করেন। যিনি ফোন ধরেছিলেন, বুকিংয়ের অগ্রিম বাবদ সোসানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চান। সেই কথামতো ১০ হাজার টাকা তাঁকে পাঠানোও হয়। এরপরপরিবারের আরও এক সদস্য ওই ব্যক্তিকে ১১ হাজার টাকা পাঠান। এরপরও বিলা বুকিংয়ের কোনও কনফার্মেশন মেল পাঠানো হয়নি। শুধু জানানো হয়, নির্ধারিত দিনে রিসর্টে যাবতীয় ব্যবস্থা করা থাকবে।
তবে সোসান জানান, তিনি ওই ব্যক্তির নম্বর একাধিকবার ফোন করলেও বারবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে এমনই বার্তা আসছিল। যার থেকে ফোন নম্বর পেয়েছিলেন তাঁকেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে দু’জনের ফোন বন্ধ ছিল। তখন বুঝতে পারেন যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এর পিছনে বড় প্রতারণা চক্র কাজ করছে। এই দুজনই তার সঙ্গে জড়িত। এরপরই গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
এই প্রসঙ্গে বেনিয়াপুকুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই গৃহবধূর অভিযোগ কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে ওই দুই ব্যক্তির খোঁজ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে শহরের একাধিক নাগরিক হোটেল বুকিংয়ের নামে প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। ইন্টারনেট বা বন্ধুদের থেকে পাওয়া নম্বরে ফোন করে হোটেল বুক করতে গিয়ে মোটা টাকা খুইয়েছেন অনেকে। ফলে যে সাইট দেখে বুকিং করা হচ্ছে সে ব্য়াপারে আগে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।