৯ অগাস্টের ঘটনার সেমিনার রুমে যে লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল তাঁকে লালবাজারের তরফ থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলে জানানো হয়। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হয়। সেই অভীক সম্পর্কে সামনে এল নতুন এক তথ্য।
৯ অগাস্ট এসএসকেএমের হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন অভীক দে। এদিকে সেদিন আরজি করেও ছিলেন তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার পড়ুয়া গৌরাঙ্গ প্রামাণিক সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, সে কথা অভীক নিজে মুখে স্বীকারও করেছেন। তাহলে এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটিদের হাজিরা খাতায় সইটা কখন করলেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
হাজিরা বিতর্কে প্রসূন চট্টোপাধ্য়ায়কে শোকজও করা হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রসূনকে চিঠি দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি।
চিকিৎসক উৎপল গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, ‘টিএমসিপি নামে একটি সংগঠন আছে, তারা নাকি ডাক্তার অভীক দে-কে বহিষ্কার করেছে বলে জানতে পারছি। ক্রাইম সিনের আশেপাশে থাকার জন্য নাকি বহিষ্কার। অথচ তিনদিন ধরে কলকাতা পুলিশ বোঝাতে চেয়েছে উনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট।’ চিকিৎসকমহল বলছে, তাহলে কি কোনও বিতর্ক, প্রশ্ন এড়াতেই অভীক, প্রসূনদের নিজ নিজ কর্মস্থলের হাজিরা খাতায় ৯ তারিখের সই করেছেন।