ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে আরও একটি নতুন দল। ১৫ অগাস্টের পর নতুন দল গড়ার ঘোষণা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। জেলা নেতৃত্বের বিরোধিতা করেই নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন হুমায়ুন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, নদিয়ায় ৫০ আসনে প্রার্থী দেবে হুমায়ুনের দল।
এই প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, ‘আমি শুধু মুর্শিদাবাদকেন্দ্রীক দল গড়ব না। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়ার একটা অংশ, ৫০–৫২ সিট নিয়ে দলটা করব।’ তাঁর কথায়, ‘বলদের পক্ষে লোক রয়েছে, নাকি ছাগলের পক্ষে লোক রয়েছে, সেটা একবার ওঁদের চাক্ষুস করানোর দরকার রয়েছে।’ আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙতে চাইছেন কি না তা নিয়ে।
হুমায়ুনের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ক্ষমতায় আসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। নেত্রীই চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু আমি নেত্রীকে এটা অবগত করার জন্য দলটা করব, যে আমার মতো লোকের দরকার হয়তো হবে না কিন্তু ছাগল দিয়ে যে ধান মাড়া হচ্ছে, তাতে যোগ্য ভোটার সম্মান পাচ্ছেন না। যোগ্য ভোটাররা যাতে সম্মান পান, তারই ব্যবস্থা করব।’
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, জুলাইয়ের মাঝামাঝি তিনি কিন্তু হুঙ্কার দিয়েছিলেন শাসক দলের বিপক্ষেই। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ’১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সংযত থাকব, তারপর অলআউট লড়াইয়ে যাব। যদি জেলার সভাপতি কান্দি থেকে ভরতপুরের নেতাদের অক্সিজেন দেয়, আমি গোটা জেলায় এর সংগঠনের বিরুদ্ধে অক্সিজেন জোগাব। কাদের নিয়ে জোগাব, তার পরিণতি কী হবে? তার জন্য তৈরি থেকো বন্ধু। তৈরি থেকো, আমার লড়াই করার অভ্যাস আছে। লড়াই করে কী করে ময়দান থেকে জয়লাভ করতে হয় আমি জানি।‘ আর তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার ও যুব তৃণমূল সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার।
হুমায়ুনের হুঙ্কার নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, হুমায়ুনের কথায় এটা অন্তত স্পষ্ট, তৃণমূলের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভোটব্যাঙ্ক এলাকাগুলিতেই লড়াই করবেন হুমায়ুন। উল্লেখ্য, এর আগে, বিজেপির টিকিট নিয়ে আড়াই লক্ষ ভোট পেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে। হুমায়ুন তার ভিত্তিতে মানুষের জনসংযোগ নিয়ে একটি সার্ভে করেছেন। তার ওপর দাঁড়িয়েই নতুন দল গড়ার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।

