জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় এই মামলা। এবার এই মামলায় মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দান এলাকায় নতুন করে কোনও গাছ কাটা যাবে না বলে জানাল সর্বোচ্চ আদালত।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা, মেট্রো রেলপথ নির্মাণের জন্য ময়দান এলাকায় নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ তুলে দায়ের হয় মামলা।
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে প্রথমে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও পরে সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। এরপই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলাকারী। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, ‘তিন সপ্তাহ পরে আবার মামলার শুনানি হবে। তত দিন পর্যন্ত গাছ কাটা বা নতুন গাছ লাগানো যাবে না।’
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মেট্রোর কাজ চালিয়ে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একটিও গাছ যাতে কাটা না পড়ে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, জোকা–বিবাদী বাগ মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজে লাগামছাড়া মনোভাব নিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ। সবুজকে বাঁচাতে গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
তাদের বক্তব্য ছিল এই এলাকাজুড়ে মোট ৭০০ গাছ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাটবে এমন তথ্য মিলেছে। সংবাদমাধ্যম থেকেই এই তথ্য পেয়েছেন তারা। প্রায় ২০০ গাছ কাটা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এর বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয় সেই সংগঠন। আবেদনে বলা হয়েছিল, ময়দান এলাকা শহরের ফুসফুস। সেখানে এত পরিমাণে গাছ কাটা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে।