নিপা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানাল আইসিএমআর। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কোভিডের থেকে বেশি বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান রাজীব বাহল। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু হার কোভিডে থেকে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি। এটা এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, পরিস্থিত ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন।
বর্তমানে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন মানুষদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। আইসিএমআর-এর কাছে ২০ ডোজ মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সংস্থার কাছে মাত্র ১০ জন রোগীর মত মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ডোজ রয়েছে বলে জানান আইসিএমআর প্রধান। তবে এখনও পর্যন্ত এই ডোজ কাউকে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। সঙ্গে এও বলেন যে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিদিষ্ট কোনও ভ্যাকসিন নেই। আর এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ডোজের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে মাত্র। এটা কতটা সংক্রমণ রুখতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
বর্তমানে কেরালায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার নতুন করে আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের দফতর। আক্রান্ত সকলেই কোঝিকোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে এমন মানুষের সংখ্যা ৭০৬। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে হয়েছে বলে কেরালা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। এদেরে মধ্যে ৭০ জনের বেশি নিপা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রবল বলে জানিয়েছে দফতর। তবে, এখনও পর্যন্ত সংস্পর্শে আসা মানুষদের মধ্যে নিপার উপসর্গ দেখা যায়নি বলে খবর। এদিকে, কেরালা নিপা আতঙ্কে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে কোঝিকোড়ে। জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের তরফে করা হয়েছে আবেদন। সেই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে তারা। অজানা জ্বর নিয়ে কোঝিকোড়ের বেসকারি হাসাপাতালে ভর্তি ১৫ জনের উপর চলছে বিশেষ নজরদারিও।
সংক্রমণ রুখতে কোঝিকোডের ১১টি ওয়ার্ড কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখা হয়েছে বন্ধ। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য মানুষের কাছে করা হয়েছে আবেদন।