সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখা মেলে না চিকিৎসকদের, এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এই ঘটনা রুখতে আর চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবার কড়া পদক্ষেপ জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন অর্থাৎ এনএমসির। সূত্রে খবর, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, হাজিরার হার ৭৫ শতাংশের নিচে নামলেই চিকিৎসকদের বেতনে কোপ পড়বে। এছাডা়ও আরও একটা বড় অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগও দীর্ঘদিনের। কারণ, তাঁরা হাসপাতালের তুলনায় বেশি সময় দিচ্ছেন বেসরকারি নার্সিংহোম কিংবা চেম্বারে। এর জেরেই সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে বলে মনে করছে কমিশন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার উপস্থিতিতে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করে এনএমসি। বৈঠকে কমিশনের তরফে জানানো হয়, চিকিৎসকরা নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলে কোনওভাবেই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখা সম্ভব নয়। এরপরই এনএমসির তরফ থেকে দেওয়া হয় কড়া দাওয়াই। জানানো হয়, যাঁরা নিয়ম না মেনে ছুটি নেন এবং ৭৫ শতাংশের কম সময় হাসপাতালে থাকেন তাঁদের বেতন কাটা হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁয়ের গলায় ধরা পড়ে কোথাও এক প্রতিবাদী সুর। তিনি জানান, ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ওরা অনলাইনে দেখতে পায়। ভিডিয়ো কনফারেন্সে এনএমসি জানিয়েছে, আপনাদের যদি ১৫০-১৮০ জন চিকিৎসক থাকেন, তার মধ্যে যদি ৭০ জন আসেন, তাহলে কে অপারেশন করবেন আর কে রোগী দেখবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এখানেই চিকিৎসকদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিতও করতে বলা হয়েছে। কিন্তি ওরা আর সশরীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখতে আসেন না। আমরা যদি নতুন কোনও বিভাগ চালু করি, এমবিবিএসে আসন বাড়াই, সেই সুবিধা দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলেছেন।’তবে তিনি এটাও মেনে নেন, ‘হাসপাতালে সময় দেন না, এমনকি হাসপাতালে এসেও বেরিয়ে যান, এমন চিকিৎসক রয়েছেন।’