গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর এবার বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার আরও কঠোর মনোভাব কলকাতা হাইকোর্টের। বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া বাড়ি ভাঙার নির্দেশের উপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ দিতে রাজি নয় আদালত। ‘যে আদালতই নির্দেশ দিক সেটাই থাকবে’, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই প্রসঙ্গে আদালতের সংযোজন, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক। আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না বলে জানিয়েছে। সঙ্গে বিচারপতি এও জানিয়ে দেন, বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতি নয়। আদালত সূত্রে এও খবর, মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন আসে। তিনটি মামলাই গৃহীত হয়নি।
মঙ্গলবার ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় ৩০ দিন সময় চায় পুরসভা। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে তা নিয়েই। সঙ্গে এও জানতে চান, বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে কি যন্ত্রপাতি আছে পুরসভার কাছে জানতে তাও। এরপরই পুরসভায় আদৌ আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে কি না তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করে আদালত। আর তা জানাতে হবে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যেই।
এদিন আদালত এও জানতে চায়, বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময় লাগে কেন তা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সিনহা এ প্রশ্নও করেন, ‘যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে, তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?’ সরকারি আইনজীবী বলেন, যন্ত্রপাতির জন্য সমস্যা হচ্ছে। এরপরই আদালত সংশয় প্রকাশ করে, পুরসভার হাতে ঠিকমতো যন্ত্রপাতি আছে কি না।