মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ব্যানারে নবান্ন অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মীনাক্ষী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর নাম এই অভিযানের সঙ্গে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই বা বাম সংগঠনরা এই নবান্ন অভিযানকে একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট করে দেন মীনাক্ষী।
এদিকে মঙ্গলবারের এই আহ্বান নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। আসলে কারা এই ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধোঁয়াশাও। গত ২৩ অগাস্ট তিন যুবক প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর আহ্বায়ক হিসাবে দাবি করেন।
এরপরই ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন, ‘মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম একটা নবান্ন অভিযান আছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা, যিনি কি না বিজেপিরও নেতা, তিনি এই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছেন। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তারা এই কর্মসূচির সঙ্গে আমার নাম যুক্ত করে প্রচার করেছেন। এটা অনৈতিক কাজ। জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য এই কাজ করেছেন। এই অনৈতিক কাজকে আমরা ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে ধিক্কার জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি সম্পর্কে মীনাক্ষী বা ডিওয়াইএফআইের বিস্তারিত কিছুই জানা নেই বা জানার কথাও নয়ও বলে জানান এই বামনেত্রী। সঙ্গে এও স্পষ্ট করে দেন, ‘আমি, আমাদের সংগঠনের কেউ, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই বা কোনও বামপন্থী সংগঠনের এই কর্মসূচির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আরএসএস, ভিএইচপির ছাত্র সমাজের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না।’ তবে এর পাশাপাশি এও বার্তা দেন, ২৭ তারিখ গোটা রাজ্য, জেলায় জেলায়, প্রতি ব্লকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামবেন তাঁরা।