ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হবে না। বুধবার এমনটাই আশ্বাস দেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রসঙ্গত, অসুস্থতার কারণে অ্যাডভোকেট জেনারেল বুধবার আদালতে জানান তিনি এদিন মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না। এরপরই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের কোনও পদক্ষেপ না করার আশ্বাস তিনি মেনে নেন।
এদিকে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীকে পুলিশ হেনস্থা করছে এমন দাবি তুলে এদিনই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। আর এই ঘটনায় ওই আইনজীবী মামলা দায়ের করারও অনুমতি চান। উত্তরে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, এই মামলা শোনার এক্তিয়ার তাঁর নেই। মামলা করার আবেদন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের আদালতে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, ২০১৩ সালে নবগ্রাম থানার চাণক্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁকে ধর্ষণ করেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ। তাঁর উপরে চাপসৃষ্টি করে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করেন কার্তিক মহারাজ, এই অভিযোগও তোলেন তিনি। মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য নবগ্রাম থানার পুলিশ কার্তিক মহারাজকে জেরা করতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আর সেই জন্য কার্তিক মহারাজকে আইনি নোটিস পাঠায় নবগ্রাম থানা। সেই নোটিসে ১ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টা’র মধ্যে নবগ্রাম থানায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এরপই কার্তিক মহারাজ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।