সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তাদের সভার জন্য নবান্ন বাস স্ট্যান্ড ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর সভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। তবে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিদের এই আবেদন বৃহস্পতিবার ফেরালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একদিকে যেমন ১০০০ দিনের ওপর রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা ঠিক তেমনই তাঁদেরই পাশাপাশি বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনও চলছে এই রাজপথেই। সেই আন্দোলনও পেরিয়েছে ৩২২ দিন। সময়ের দিক থেকে কম নয়। তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল তাঁরাও।
বকেয়া ডিএ-সহ আরও দাবি আদায়ে হাওড়া পুলিশকে আবেদন করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ হ্যাঁ বা না, কিছুই বলছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন তাঁদেরকে ঝুলিয়ে রেখেছেন। বহুদিন ধরে এই আবেদন ঝুলে থাকার পর হাইকোর্টের শরনাপন্ন হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। তবে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আন্দোলনকারীদের জানান, ‘আপনারা ময়দানে বসে প্রতিবাদ করছেন। আর হাওড়ার ওই জায়গা যথেষ্ট ব্যস্ত। তাই ওখানে বসার অনুমতি দেওয়া সমস্যা।’ যদিও বিচারপতি শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানি সোমবার।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আরও একটি কর্মসূচি রয়েছে আগামী বছরের শুরুতে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শিয়ালদা, হাওড়া, হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হবে। তবে বৃহস্পতিবার নবান্নর সামনে সভা নিয়ে যে প্রেক্ষিত তৈরি হল তাতে আন্দোলনকারীরা ঠিক কোন পথে যাবেন, সেটাই দেখার।