হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে বাংলাদেশে। সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, আপাতত গোটা দেশের ভার তিনি কাঁধে নিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে বাংলাদেশের প্রশাসন চালানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শেষ পর্যন্ত কে নেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব তা নিয়ে। জল্পনা শুরু হয়েছে, নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের হাতে যাবে ক্ষমতা নাকি সেনার হাতেই থাকবে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র সে ব্য়াপারেও।
এই আবহে উঠে আসছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নাম। শোনা যাচ্ছে, অর্থনীতিবিদ ইউনুসের নেতৃত্বেই সরকার গঠন হতে পারে বাংলাদেশে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনার তরফে মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্রদের একাংশ চাইছেন তাঁকে। ইউনুসের নিজেরও দায়িত্ব নিতে খুব একটা আপত্তি নেই!
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সব দলকে নিয়ে বৈঠক ডাকতে চলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এই বৈঠকেই পরবর্তী সরকারের রূপরেখা ঠিক হবে। ইতিমধ্যেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জেলমুক্তির নির্দেশিকা জারি করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন বাংলাদেশের বিরোধী দলের কার্যকরী চেয়ারম্যান তথা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারিখ রহমান।
জানা যাচ্ছে, হাসিনা সরকারের পতন হলেও ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চান না সেনার হাতে দীর্ঘদিন থাকুক বাংলাদেশ। এদিকে, পরবর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লিগের যে কোনও ভূমিকা থাকবে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ফলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারে বিএনপি, নিষিদ্ধ জামাতের কী ভূমিকা হতে চলেছে সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।