যাদবপুরকে শোকজ নোটিস পাঠাচ্ছে শিশুসুরক্ষা কমিশনের। আর এই শোকজ নোটিস দেওয়া হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগকে সামনে রেখে। শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন হস্টেলে কোনও সিসিটিভি নেই ত নিয়ে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে কেন ইউজিসির নিয়ম মানা হয় না সে ব্যাপারেও। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠছে, কর্তৃপক্ষ সব জেনেও কেন চুপ করে বসেছিল তা নিয়েও। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মারা যায় নদিয়ার বগুলার ছাত্র । এখনও ১৮ বছর বয়স হয়নি তার। এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করা হয় সেখানে ১৭ প্লাস বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকেরা। সেই ছাত্রকে মানসিক, শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে হস্টেলের ‘সিনিয়র’ ও ‘প্রাক্তনী’দের একাংশের বিরুদ্ধে। এই তথ্য জানার পরও কেন পকসো আইন রুজু করা হল না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার হস্টেল থেকে পড়ে মারা যান বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র । তার মৃত্যু ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। র্যাগিংয়ের মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে এই মৃত্যুর পিছনে। ইতিমধ্যেই নিহত ছাত্রের বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সময় যত এগোচ্ছে, গত ৯ অগাস্টের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। তাতে এই ঘটনার সঙ্গে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের তীব্র অপরাধপ্রবণতার অভিযোগ যুক্ত হচ্ছে। ভয়াবহ সেসব অভিযোগ। তদন্ত চলছে, হয়েছে তদন্ত কমিটিও। হয়েছে মামলাও।