১৯৯৮ সালের ৩ ডিসেম্বরের পর দিল্লিতে এবার ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। ২৬ বছর পর দিল্লিতে বিজেপির হাতে আপ পর্যুদস্ত হতেই হুঁশিয়ারির বার্তা শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। জানালেন, ‘এবার বাংলার পালা।’ শুধু তাই নয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী করবে, তা নিয়ে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এবার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট জবাব, দিল্লি ভোটের প্রভাব পড়বে না বাংলায়। ফের সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেসই।
গেরুয়া শিবিরের এই ফলের পরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলায় ২০০ পারের স্বপ্ন দেখেছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জিতেছিল ৭৭টি আসন। ২০০-র বেশি আসন পায় তৃণমূল। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা কমেছে। বেড়েছে তৃণমূলের আসন সংখ্যা। আবার লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে একাধিক বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
তবে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরই শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরে এক জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে বলেন, ‘দিল্লিতে আপের হার মানে তৃণমূলেরও হার।’ কারণ, আপকে সমর্থন জানিয়েছিল তারা। দিল্লির পর এবার বাংলার পালা বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আবাস যোজনায় সুবিধাপ্রাপকদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বদলে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। শুভেন্দু বলেন, দিল্লি নির্বাচনের পর এবার বাংলার পালা। এবার পাল্টা এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে আড়াইশোর বেশি আসন পাবে তৃণমূল। চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দিল্লি ভোটের প্রভাব নিয়ে কুণাল শনিবার এও লেখেন, ‘বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়। দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনও মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই।’ প্রসঙ্গত, এর আগেও কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ২০২৬ সালে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই ফের সরকার গড়বে। তবে দিল্লি নির্বাচনের প্রভাব বাংলায় পড়বে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর এই অবস্থান কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিলেন, বাংলায় দিল্লি ভোটের প্রভাব পড়বে না।