বেতন না পেলেও ভোটের ডিউটিতে এনএসকিউএফ শিক্ষকরা

শনিবার পঞ্চায়েত ভোট। এদিকে গণতন্ত্রের উৎসবে যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন সেই শিক্ষকরা বেতনহীন। এই প্রসঙ্গে, এনএসকিউএফ শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অস্থায়ী শিক্ষকদেরও ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমগ্র শিক্ষা মিশনের অন্তর্গত রাজ্যের ৭২৬ টি সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২ টি স্থায়ী বিষয়ে রাজ্যে ১৪০০ জন শিক্ষক,শিক্ষিকা কর্মরত। এদিকে বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সি দ্বারা নিয়োগ করা হচ্ছে শিক্ষকদের। প্রাইভেট এজেন্সি মাঝে থাকার ফলে শিক্ষকরা বেতনও সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না এবং যখন তখন ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ১৪০০ জন শিক্ষকের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষকের গত মে মাসের পর থেকে চুক্তির পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। মার্চ থেকে ২০০ জন এবং এপ্রিল থেকে ৮০০ জন শিক্ষকের বেতন হয়নি। এই শিক্ষকদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে স্কুল শিক্ষায় প্রাইভেট এজেন্সি সরিয়ে স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নম্বরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি শুধু আশ্বাস-ই মিলেছে। বেশিরভাগ শিক্ষক দিনে তিন থেকে চার বার করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নম্বরে ফোন করছেন। ফোনের ওপার থেকে সমাধানের আশ্বাস মিললেও এখনও মেলেনি বকেয়া বেতন।

এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক নির্মল মণ্ডল জানান,  ‘ বেশ কিছু শিক্ষক বেতন পায়নি মার্চ থেকে, পকেটে টাকা নেই, তবুও আমরা ভোটের ডিউটি করতে যাবো। আমরা সরকারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছি তবুও সরকার আমাদের জন্য নূন্যতম দায়িত্ব পালন করছেন না। আমাদের এই অসহায় অবস্থা থেকে অবিলম্বে মুক্তি দিক সরকার, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আমাদের দিন চলছে। উচ্চ শিক্ষিত হয়ে নূন্যতম মর্যাদা থেকে আমরা বঞ্চিত।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 18 =