ফ্ল্যাট সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় ধাক্কা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। মঙ্গলবার আলিপুর জজ কোর্টের নির্দেশে নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে টলিউডের এই নায়িকা তথা বসিরহাটের সাংসদকে। এর আগে আলিপুর আদালতে ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার শুনানি হয়েছিল। সেই সময় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান সাংসদ নুসরত জাহান। যাতে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে না হয় সেই কারণে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থও হতে দেখা যায় সাংসদ নুসরত জাহানকে। কিন্তু, আলিপুর আদালতের নির্দেশ বহাল রেখেছে জজ কোর্টও। বিচারক জানান, এই মামলায় হাজিরা দিতে হবেই নুসরত জাহানকে।
এর আগে প্রতারিতদের আইনজীবী জোর সওয়াল করেছিলেন, নুসরত জাহানকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার বিষয়ে। প্রতারিতদের আইনজীবীর কথায়, এই মামলায় অন্তত একবার হাজিরা দিতে বলা হোক নুসরত জাহানকে। সঙ্গে বন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হোক। এবার এই মামলাতেই ধাক্কা খেলেন নুসরত জাহান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ সালে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় সংস্থাটি ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা নিয়েছিল ফ্ল্যাট তৈরি করার নামে। উপভোক্তাদের দুই কামরার ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে বলা হয়। পাশাপাশি হিডকোর থেকে তিন কামরার ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। এরপর ওই ব্যাঙ্ক কর্মীরা গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ওঠে প্রতারণা মামলায়। এই প্রতারিতদের নিয়ে ইডি-র দফতরে যান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। যদিও নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এই ঘটনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর নুসরত জাহানকে জেরা করে ইডি। ঘটনায় নুসরতের আয় ব্যয়ের হিসাব তাঁর কোম্পানির সঙ্গে যোগসূত্র ধরে শুরু হয় তদন্ত। এই যাবতীয় অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি ছিল, ওই সংস্থার থেকে তিনি কিছু ঋণ নিয়েছিলেন। তা পরে মিটিয়েও দেন তিনি। এই ঘটনায় দুর্নীতির কোনও হদিশ মিললে যা সকলে বলবে তাই হবে, এই মন্তব্য করতে শোনা যায় নুসরত জাহানকে। যদিও গোটা বিষয়টিকে সামনে রেখে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধীরা।