পরিচারিকা মারধরের মামলায় আদালতে নির্বাক শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকেরা

পরিচারিকাকে মাথায় রড দিয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের নাতি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করা হল তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে। এবার সেই মামলায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল কলকাতা পুলিশ। কেন অভিযুক্তরা এখনও অধরা এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে মঙ্গলবারও দিতে পারেনি শ্যামপুকুর থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অগাস্ট পরিচারিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল পঙ্কজ রায়ের নাতি পুষ্কর রায় ও পুত্রবধূ মিতা রায়ের বিরুদ্ধে। মাথার রড দিয়ে মারার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছিল। এরপর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ছিল সেই মামলার শুনানি।

এদিন শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, মামলাকারী অর্থাৎ নির্যাতিতার সাক্ষ্য এখনও নেওয়া হল না কেন তা নিয়েও। প্রস্ন তোলা হয়, কেন এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হল না সে ব্যাপারেও। এর পাশাপাশি বিচারপতি এও জানতে চান, কেনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি।  তাঁরা যদি পলাতক হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের সম্পত্তি কেন বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হল না তাও জানতে চান বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তরই দিতে পারেনি শ্যামপুকুর থানা।

এরপরই শ্য়ামপুকুর পুলিশের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এর আগেও এই মামলাতেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘কোথা থেকে এই সব অফিসারদের ধরে এনেছেন? একজন ডিসি-র নজরদারিতে তদন্তের কথা থাকা সত্ত্বেও কী করে এই অবস্থা!’ এবার ফের একবার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে। আগামী ৫ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 5 =