ফেসবুকে বন্ধুত্ব থেকে মেসেঞ্জারে কথা। এরপর অশ্লীল ভিডিও দেখার ছবি দেখিয়ে তার স্ক্রিনশট নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয় এক বৃদ্ধকে। এরপর ব্ল্যাকমেল করে তোলা হয় ১৫ লক্ষ টাকাও।আর তার জেরে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এই বৃদ্ধ। এরপর ছবি প্রকাশ হলে মান খোয়ানোর ভয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করেন ওই বৃদ্ধ।
এই ঘটনায় আদালতের শরনাপন্ন হন ওই বৃদ্ধের ছেলে। শুক্রবার আদালতে তিনি অভিযোগ জানান, তদন্ত এগোয়নি সিআইডির। এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেন চুঁচুড়া কোর্টের এই আইনজীবী। পাশাপাশি বৃদ্ধের ছেলে এও দাবি করেন, ভিন রাজ্যের যোগ আছে। সেই কারণে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে, এমনও আর্জি জানান তিনি। এদিকে রাজ্যে গোয়েন্দা দফতরের দাবি, জামতাড়া গ্যাংয়ের কাজ এটা। তদন্ত এগিয়েছে। কিন্তু আরও বাকি রয়েছে। এই চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন মানুষ।
তবে এদিন আদালতে জনা দেওয়া নথি দেখে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান , এই ঘটনায় তদন্তে সিআইডি এগিয়েছে। তবে ১৪ দিনের মধ্যে সিআইডিকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানানোর নির্দেশ। কেস ডাইরি আগামী শুনানিতে হাজির করতে হবে বলেও জানান বিচারপতি। তারপরে সিবিআই নিয়ে ভাববে আদালত।