মহেশতলায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার দেহ। ঘটনায় আটক করা হয়েছে ওই বৃদ্ধার ছেলে ও বৌমাকে। মৃতার নাম প্রভা নাথ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে বাড়ি নিয়ে ছেলের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বছর ষাটেকের প্রভা দেবীর। ছেলে-বৌমা মিলে প্রায়শই তাঁর গায়ে হাতও তুলত বলে অভিযোগ। প্রভা দেবীর আরও এক মেয়ে রয়েছেন। তিনি পড়াশোনার সূত্রে বাইরে থাকেন। কিন্তু, বাড়িতে যে ঝামেলার মধ্যে ছেলে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে তা ভাবতে পারছেন না কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতেই খুন করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। তারপর দেহ প্যাকিং করে বাড়ির পাশে জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। শনিবার রাতে ঘটনার কথা জানাজানি হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেতেই এলাকায় যায় মহেশতলা থানার পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি। জঙ্গলের মধ্যে থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। যদিও সেখানে ডাক্তারেরা জানায় অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার।
এরপরই আটক করা হয় বৃদ্ধার ছেলে-বৌমাকে। কী কারণে, কীভাবে মৃত্যু তা নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, ‘ওদের বাড়িতে তো প্রায়ই ঝামেলা হতো। আমরা মাঝেমাঝে ঝামেলা মিটিয়েও দিয়েছে এসেছি। ছেলেটা তো মাকে প্রায়ই মারতে যেত। আমাদের সন্দেহ ছেলে-বৌমা মিলে ওনাকে মেরে ফেলেছে। আমরা তো শুরুতে জানতেও পারিনি। পরে জানতে পারি। প্লাস্টিকে মুড়ে দেহ রেখে দিয়েছিল। যখন উদ্ধার হয় তখন গন্ধ বেরিয়ে গিয়েছিল। শুনছি নাকি রড দিয়ে মেরেছে।’