শুক্রের সকালেই নাকতলা সহ ৬ জায়গায় শুরু ইডি-র তল্লাশি

ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি শুরু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। শুক্রবার ভোরে নাকতলার এক প্রোমোটারের বাড়ি সহ ৬ জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে সকাল থেকে। নাকতলার মোট তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বাঁশদ্রোণী, বালিগঞ্জ মিলিয়ে মোট ৬ জায়গায় চলছে তল্লাশি।

এদিকে সূত্রে খবর, এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডি অফিসারদের গাড়ি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাজীব দের বাড়িতে পৌঁছান ইডির আধিকারিকেরা। সূত্রে এ খবরও মিলছে, রাজীব দের  বাড়ি ও অফিস রয়েছে এই নাকতলাতেই। অফিস হল নাকতলার শ্রীরাম কনস্ট্রাকশন। সেখানেই গিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।

এদিকে এই রাজীব দে বরাবরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রাজীব দে প্রসঙ্গে উঠে আসে ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার নাম। ইডি সূত্রে জানা যায়, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার রাজীব দে। সেই সময় সংস্থায় আরও এক ডিরেক্টর ছিলেন পার্থর স্ত্রী বাবলি। ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ওই সংস্থার ডিরেক্টর হন।

ইডি সূত্রের খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর পার্থ সরকার এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা করে রাজীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি। এদিকে এ প্রশ্নও উঠেছে রাজীব কি পার্থর স্ত্রী এবং জামাইকে সামনে রেখে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা প্রোমোটিং-এর ব্যবসায় লগ্নি করেছেন কি না সে ব্যাপারেও। ফলে প্রোমোটিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সেটা খুঁজে বের করতেই এই তল্লাশি বলে সূত্রের খবর।

এদিকে এ খবরও মিলছে, শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘অপা’ নামে যে বাড়ি রয়েছে, তারও দেখভাল নাকি করতেন এই রাজীব। নিজেকে পার্থর ‘ভাগ্নে’ বলেই পরিচয় দিতেন তিনি বলে জানা যাচ্ছে। আর এই অপা-র দেখভালের সূত্রে শান্তিনিকেতনে প্রায়ই যেতেন তিনি।

এদিকে গত সপ্তাহেই পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিল বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাপ্পাদিত্যর কাছে কয়েকজন প্রোমোটারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৫ প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থর যোগ ছিল বলে সন্দেহ রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এই সূত্রেই রাজীব দে-র নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন রাজীব দে-র অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে ইডি।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজীব দে দীর্ঘদিন ধরেই প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে ওই কাজ করতেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে রাজীবের চেনাশোনা ছিল সে কথাও জানিয়েছেন স্থানীরা। তবে দুর্নীতির সঙ্গে রাজীবের কী যোগ থাকতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =