২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মী, এমনকী সমর্থকেরাও ভিড় জমান দলের সভায়। যার ফলে বাস ট্রেনের পাশাপাশি খুব স্বাভাবিকভাবেই মেট্রোতেও এদিন বাড়তি ভিড় দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাই বেলা ৩টে পর্যন্ত ব্লু লাইনে (উত্তর-দক্ষিণ করিডোর) যাত্রীর সংখ্যা প্রকাশ করল মেট্রো। এই বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা মেট্রো রেল জানাচ্ছে, ২১ তারিখ দুপুর ৩টে পর্যন্ত ১.৯২ লক্ষ যাত্রী ব্লু লাইনে যাতায়াত করেছেন, যা তার আগের রবিবারের (১৪.০৭.২৪) তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। ১৪ জুলাই ওই সময়ের মধ্যে মেট্রোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১.০৭ লক্ষ।
ধর্মতলা (এসপ্ল্যানেড) চত্বরে রাজনৈতিক সমাবেশের কথা মাথায় রেখে আরও মসৃণ পরিষেবা দিতে প্রথম থেকেই তৎপর ছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য রবিবারারে মতো এদিনও সকাল ৯টাতেই পরিষেবা শুরু হয় ব্লু লাইনে। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয় এবং বাড়তি কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত আরপিএফ কর্মী। একইসঙ্গে সর্বক্ষণ গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে চলেন মেট্রোর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পরিষেবা দিতে সারাবছরই তৎপর থাকে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তারমধ্যে বিশেষ বিশেষ দিতে বাড়তি তৎপরতা দেখা যায় মেট্রোয়। দুর্গাপুজোর মতো উৎসব বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে বিশেষ পরিষেবাও দেওয়া হয়। যেমন, দুর্গাপুজোর সময় শহরে বুকে রাতভর চলে মেট্রো। আবার আইপিএল বা আইএসএল-এর ম্যাচ দেখে যাতে দর্শকরা নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্যও কোনও কোনও সময় বিশেষ পরিষেবা রাখা হয় মেট্রোর পক্ষ থেকে। সেই মতোই ২১ জুলাইয়েও বাড়তি ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আগেভাবেই তৎপরতা অবলম্বন করল কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।