২০২৩-এর একুশে জুলাই উপলক্ষে লাখো মানুষ এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু তার মধ্যে অনেকেই এদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছতেই পারেননি সভাস্থলে। ফলে এদিন শহরের নানা প্রান্তে দেখা যায় কর্মী সমর্থকদের রাস্তার পাশে বসে পিকনিকের মেজাজে খাওয়া-দাওয়া সারতেও। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যখন বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, ঠিক তখনই শহরের অপর প্রান্ত ইকোপার্কে চলছে ধুমধুমার কাণ্ড।
এমনকী পাঁচিল টপকে নিরাপত্তা কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে ইকো পার্কে ঢুকে পড়েন কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। আর এই বিপুলসংখ্যক মানুষের চাপ সামাল দিতে নাজেহাল ইকো পার্কের নিরাপত্তা কর্মীরা। অনেকেই লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকলেও, দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকরা জানান শহিদ দিবস, তাই সবকিছু ফ্রি করে দিয়েছেন দিদি। আর তাই বিনা টিকিটে ইকোপার্ক দর্শনে হাজির রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকরা।
তবে ইকো পার্কের গ্রিল টপকে ঢোকার এই দৃশ্য দেখে হতবাক অনেকেই। এক সময় হাল ছেড়ে দিতেও দেখা যায় নিরাপত্তা কর্মীদের। দিনটি শহিদ দিবস হলেও সংগঠনের একাংশের কাছে যেন ছিল ‘ফূর্তির প্রাণ গড়ের মাঠ।’ ইকো পার্কের এক কর্মী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘অনেকে টিকিট না কেটে ঢুকতে যাওয়ার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়।’ শুধুমাত্র ইকো পার্ক নয়, কলকাতায় চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, বাবুঘাট চত্বরেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এদিনের সমাবেশের আগেই। তবে ইকো পার্কের এই ঘটনা অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন অনেকেই।