শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফা, বাংলায় হবে ৮ আসনে ভোটগ্রহণ

শিবাশিস রায়

 

শনিবার ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ এই দফায় দেশটির সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৮টি নির্বাচনী এলাকার ভোট হবে। লোকসভা নির্বাচনের ৬ষ্ঠ পর্বে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোট হচ্ছে বিহার (৮টি আসন), হরিয়ানা (সব ১০টি আসন), জম্মু ও কাশ্মীর (একটি আসন), ঝাড়খণ্ড (৪টি আসন), দিল্লি (সমস্ত ৭টি আসন), ওড়িশা। (৬টি আসন), উত্তরপ্রদেশ (১৪টি আসন) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৮টি আসন)।

লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। যে ৮ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৭৯। যার মধ্যে সর্বাধিক প্রার্থী আছে বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে। এই দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী সংখ্যা ১৩। পুরুলিয়া কেন্দ্রে প্রার্থী সংখ্যা ১২। মেদিনীপুর, কাঁথি, তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী সংখ্যা ৯ করে। ঘাটাল এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন করে। লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ পর্বের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বাঁসুরি স্বরাজ, মনোজ তিওয়ারি, কানহাইয়া কুমার, মনোহর লাল খট্টর, দীপেন্দ্র সিং হুডা। এদিকে রাজ্যেও ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। যাদের মধ্যে আছেন বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (তমলুক), অগ্নিমিত্রা পাল (মেদিনীপুর), হিরণ চট্টোপাধ্যায় (ঘাটাল)। তৃণমূলের পক্ষে এই পর্বে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন দেব অধিকারী (ঘাটাল), জুন মালিয়া (মেদিনীপুর)। এই পর্বেই তমলুক কেন্দ্র থেকে সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে সোনামণি মুরমু টুডু। যাঁরা দুজনেই এই প্রথমবার লোকসভায় প্রার্থী হয়েও প্রচার পর্বে যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছেন।

রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে মোট ১০২০ কোম্পানি সিএপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যা পঞ্চম দফার তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। পঞ্চম দফায় বাহিনী ছিল ৬৫০ কোম্পানি। ১০২০ কোম্পানির মধ্যে ৯১৯ কোম্পানিকে বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হচ্ছে এবং বাকি ১০১ কোম্পানি বাহিনীকে কুইক রেসপন্স টিম এবং রিজার্ভ হিসেবে রাখা হবে। এছাড়াও এই পর্বে রাজ্য পুলিশের ২৯,৪৬৮ জনকে বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনের কাজে মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই ৮ কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৫ কেন্দ্রে। যথাক্রমে ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং মেদিনীপুর। তৃণমূল জয়ী হয়েছিল কাঁথি, তমলুক এবং ঘাটাল কেন্দ্রে। বিজেপি সূত্রের দাবি, এই বার ওই পাঁচ আসনের সঙ্গে কাঁথি ও তমলুক আসনও এবার তাঁরা তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেবে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিজেপি আগের নির্বাচনে যে পাঁচ আসনে জয়ী হয়েছিল এবার সেই পাঁচ আসনও তাদের থাকবে না।

এদিকে ২০২৪-এর নির্বাচনে এই আট আসনের মধ্যে বাম-কংগ্রেস ইন্ডিয়া মঞ্চের শরিক সিপিআইএম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তমলুক, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ঘাটাল ও মেদিনীপুর কেন্দ্রে। পুরুলিয়া এবং কাঁথি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস। যার মধ্যে তমলুক সহ একাধিক কেন্দ্রে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী সিপিআইএম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =