‘ভোর হল, দোর খোল, দুয়ারে ডাক্তার এলো রে!’ এ যেন লালবাজার অভিযানের-ই রিপ্লে। রাতভর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে থাকার পর এমনই স্লোগান বুধের সকালে উঠল স্বাস্থ্যভবনের সামনে। ঠিক এমনই ভাবে লালবাজার অভিযানের সময় যেমন ভোরবেলা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। বুধবারেও সেই ট্র্যাডিশন বহন করে চললেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এদিকে জুনিয়ার ডাক্তারদের তরফ থেকে পাঁচ দফা দাবি। বৃষ্টিও তাদের টলাতে পারেনি আন্দোলন থেকে। এই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে রাত পেরিয়ে বুদের ভোরেও স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেই বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের।
এদিন নজরে আসে শুধু স্লোগান নয়, স্বাস্থ্য ভবনের আশেপাশের দেওয়ালেও রাজ্য সরকারের প্রকল্প দুয়ারে সরকারকে কটাক্ষ করে লেখা নানা স্লোগান। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ না করা হবে, অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের এই দাবির মধ্যে রয়েছে, দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে আরজি কর কাণ্ডে জড়িতদের। এর পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। অবস্থান বিক্ষোভের প্রথম রাতেই, মধ্য রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ওই অবস্থান বিক্ষোভে আসেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তিলোত্তমার মা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলেছেন। আমরা সবথেকে বড় উৎসবের মধ্যেই তো রয়েছি।’ তিলোত্তমার বাবা বলেন যে মেয়ে বিচার পাবেই। অন্যদিকে, তিলোত্তমার কাকিমা বলেন যে পরিবার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে, এটা প্রমাণ করতে পারবেন তো মুখ্যমন্ত্রী?