অশান্তির মধ্যেই মণিপুরের ব্যাংক থেকে লুট দেড় কোটি টাকা। গত আড়াই মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। স্বাভাবিক পরিস্থিতি এখনও অধরা সেখানে। যার জেরে প্রায় আড়াই মাস ধরে বন্ধ ব্যাংকও। আর এই অশান্ত আবহের সুযোগে ব্যাংক থেকে লুট হল এক কোটির বেশি নগদ টাকা। শুধুমাত্র টাকা নয়, ব্যাঙ্কের ভল্টে থাকা সোনাও লুট হয়েছে। ঘটনাস্থল চুড়াচাঁদপুর জেলা। এখানকার অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ওই টাকা এবং গয়না লুট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কুকি অধ্যুষিত জেলা চুড়াচাঁদপুর। মণিপুরে, গত ৩মে থেকে যে এলাকায় বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল চুড়াচাঁদপুর। মে মাসে অশান্তি শুরুর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাংকও। এরপর সোমবারই প্রথম খোলা হয় ওই ব্যাঙ্কের শাখা। তারপরেই এই টাকা লুটের বিষয়টি নজরে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তারা দেখেছেন যে ওই ব্যাঙ্কের পিছন দিকের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকেছিল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেখানে ড্রিল করে একটি গর্ত করা হয়। তা দিয়ে ভিতরে ঢুকেছিল ওই দুষ্কৃতীরা।
এই নিয়ে ওই ব্যাঙ্কের শাখার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ব্যাঙ্ক খোলার পরে তারা দেখতে পান সেখানে থাকা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এরই সঙ্গে লুট করা হয়েছে সোনার গয়নাও।
প্রসঙ্গত, সোমবারই মণিপুরে গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছেন আরও একজন। কাংপোকপি জেলার এলাকায় ওই গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।। ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমান্তে সিংদা এবং ফায়েং গ্রামে ওই গুলি চলে।
এদিকে, সেখানের অশান্তি এবং হিংসার ঘটনা নিয়ে মণিপুর সরকারের কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুরের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৩মে থেকে রবিবার পর্যন্ত সেখানের বিভিন্ন সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন ১৪২ জন। ওই সংঘর্ষের ঘটনার জেরে ৫৯৯৫টি এফআইআর করা হয়েছে এবং ধরা হয়েছে ৬৭৪৫জনকে। সেখানের ৬টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। মণিপুরের হিংসার ঘটনায় ঘরছাড়া এখনও প্রায় ৫০ হাজার জন। তারা এখন সেই রাজ্যের বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে এবং উত্তরপূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।