সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়েছেন নারদা-কাণ্ডে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, নিজের দলের যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাঁদেরও গ্রেফতারিতে কোনও আপত্তি নেই অভিষেকের। বলেছেন, ‘আমাদের দলের যাঁরা আছেন, সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে শুরু করা হোক।’ অভিষেকের এই মন্তব্য ঘিরেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
বুধবার ইডির অফিসের বাইরে নারদা নিয়ে একেবারে সোজাসাপ্টা কথা বলে গিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, ‘নারদা তো সবাই দেখেছে। টিভির পর্দায় সবাইকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। এখানে তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। আপনি অস্বীকার করবেন কীভাবে?’ অভিষেকের নিশানা মূলত শুভেন্দু অধিকারীর দিকে থাকলেও, তাঁদের দলের একাধিক নেতার নামও রয়েছে নারদা স্টিং অপারেশন কাণ্ডে। মদন মিত্র, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিমদের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির অনেক নেতাকেই দেখা গিয়েছিল নারদায়।
আর এর মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, অভিষেকের মূল টার্গেট শুভেন্দু অধিকারী নন। ওই মন্তব্যের মূল নিশানায় ফিরহাদ হাকিম বলেই মনে করছেন সুকান্ত। আর এই নিয়েই নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অভিষেকের মন্তব্যের পর সুকান্তের এই ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বিষয়টিকে একেবারে গুরুত্বই দিতে নারাজ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন শুনে ‘ছাড়ুন তো’ বলেই এড়িয়ে যেতে দেখা যায় রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। এদিকে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র খুব স্পষ্ট ভাষাতেই জানালেন, ‘আমরা তো ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছি। আমি গ্রেফতার হয়েছি, ফিরহাদ হয়েছেন, শোভন গ্রেফতার হয়েছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় তো মরেই গেলেন।’ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও বলছেন, ‘আমাদের তো সিবিআই ডেকেছিল। ইডিও ডেকেছিল। আমরা জবাব দিয়ে এসেছি। সে তো ৫-৬ বছরের ব্যাপার হয়ে গেল।’