এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। কারণ, এখান থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর এই লোকসভা কেন্দ্রকে অভিষেকের দুর্গও বলে মনে করেন অনেকেই। এদিকে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেক আগেই এই ডায়মন্ড হারবার থেকেই লড়তে চেয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির আর এক তরুণ তুর্কি আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। শুধু নওশাদ-ই নন, এই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে দেখা গেছে অন্য বিরোধী দলগুলোকেও।
তবে বাস্তবে ছবিটা বড়ই আলাদা। এসইউসিআই ছাড়া ডায়মন্ড হারবারে বিরোধীদের তরফ থেকে কোনও প্রার্তীর নামই ঘোষণা করতে শোনা যায়নি। এসইউসিআই-এর হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রামকুমার মণ্ডল। তাঁর নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি বিজেপি, আইএসএফ, বাম বা কংগ্রেস কেউই এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারেনি। অভিষেকের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রার্থী কোথায়? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, কলকাতা পুরনিগমের এক কাউন্সিলর ও এক মহিলা বিধায়কের কথা ভাবা হয়েছিল। যদিও তাঁরা কেউ রাজি হননি। এদিকে সূত্র মারফৎ শোনা যাচ্ছ, ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সোনালি গুহর নামও দলের অন্দরের আলোচনায় উঠে এসেছে। পাশাপাশি আলোচনার মধ্যে রয়েছে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে আসা যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নামও। তিনি-ই আবার সাংগঠনিকভাবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় দলের দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে আবার কংগ্রেস থেকে আসা কৌস্তভ বাগচির নামও রয়েছে আলোচ্য তালিকায়। পদ্ম শিবির সূত্রে বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াকু প্রার্থী দেওয়া হবে। সকলের মতামত নিয়েই প্রার্থী বাছাই করতে একটু সময় লাগছে। দিন কয়েকের মধ্যেই সেটি হয়ে যাবে।
এদিকে বাম শিবির সূত্রে খবর, খাতায় কলমে কোনও জোট না হলেও বামেরা ওই আসনটি এখনও পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকিদের জন্য ছেড়ে রেখেছে। কারণ, নওশাদ সিদ্দিকি ওই আসনে লড়তে চান বলে কয়েক মাস আগেই জানিয়েছিলেন। ফলে নওশাদ সিদ্দিকির অবস্থান আর দিন কয়েক দেখে নিয়েই ওই আসন সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করবে বামেরা। সিপিএমের তরফে অবশ্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, দেরি হচ্ছে কারণ তারা অপেক্ষা করছে। নওশাদরা যদি শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন, তাহলে ডায়মন্ড হারবারের জন্য বামেদের প্ল্যানিং তৈরি আছে। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য বলছেন, প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়ে যায়নি।