কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ নিয়ে প্রতিবাদ ইন্ডি জোটের। রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের ভাষণ শুরু হতে না হতেই রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। বুধবার সংসদে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল আগেই। এই পরিকল্পনা অনুসারেই বুধবার সংসদের বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বিরোধী সাংসদরা। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘বহু মানুষের সঙ্গে বাজেটে অন্যায় হয়েছে। তাঁদের সকলকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের আন্দোলন।’
বুধবার সকাল থেকেই সংসদের বাইরে বাজেটের বিরোধিতায় প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধি, অখিলেশ যাদব, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, গৌরব গগৈ সহ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের। বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ সামিল হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা।
মল্লিকার্জুন খাড়গে কথায়, ‘এটি একটি ধ্বংসাত্মক বাজেট। এটি অন্যায়। এই বাজেটে কেবলমাত্র এনডিএ-এর শরিক দলগুলিকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে। কারও জন্য কিছু নেই এই বাজেটে।’ কংগ্রেসের অপর সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘এটা প্রকৃত অর্থেই কুর্সি বাঁচাও বাজেট। বদলা নেওয়ার বাজেট তৈরি করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানষকে এই বাজেটে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বাঁচাতে মরিয়া ওরা।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, নির্মলা সীতারামণ মঙ্গলবার বাজেট পেশ করার পর থেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যকে বঞ্চনা এবং বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ঢালাও বরাদ্দর প্রতিবাদে সরব হন মমতা থেকে রাহুল, সকলেই। ‘সরকার বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলি। বাজেট পেশ হওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডি জোটের নেতারা।