নিজেদের লোকজনেদের কাজ, জানাল পুলিশ

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে রহস্য। প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছিল, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ফরেনসিক টিমের বিশেষজ্ঞরা দেহ দেখার পর স্পষ্ট করেছেন, গালে, ঠোঁটে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশও বিস্ফোরক দাবি করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নাকে, গলায় ও ঠোঁটে আঘাত রয়েছে। পুলিশের অনুমান, বাইরের লোক নয়, ‘নিজেদের লোকজনের’ কাজ। কারণ দেহ উদ্ধার হয়েছে সেমিনার হলে। ওয়ার্ড অনেকটাই দূরে। সেমিনার হলে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ছাত্রীর ওপরের দিকে কাপড় থাকলেও, নিচের অংশে কাপড় ছিল না বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এদিকে আরজি করে আসা ফরেনসিক টিমের কর্তা এস কে সাহার কথায়, ‘আমরা যেটা দেখলাম, ঠোঁটে, গালে, গলায় মার্ক রয়েছে। দেহ চিৎ অবস্থায় ছিল, শোয়ানো ছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম, দেহ পুরো কভার ছিল।’ দেহে পোশাক না থাকার একটা অভিযোগ উঠছে। সে বিষয়ে ফরেনসিক কর্তা জানান, ‘চাদর চাপা ছিল। আমরা তো চাদর সরিয়ে দেখিনি। তাই পোশাক ছিল কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।’  প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নাইট ডিউটি ছিল ওই চিকিৎসকের। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার সময়ে হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ডিনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি।  ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডিনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 10 =