পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিকে বুধবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। সূত্রে খবর, ওই কেন্দ্রে যে ব্যালটগুলি মিলেছে তা সিপিএম-এর প্রতীকে ভোট পাওয়া ছিল। এরপরই এমন ঘটনা কী করে হওয়া সম্ভব, এমন প্রশ্ন তুলে ওই ব্যালটগুলি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে হাজির হন বাম নেতাকর্মীরা ।
সূত্রে এখবরও মিলছে, বুধবার সকালে হুগলির জাঙ্গিপাড়া ডিএন হাইস্কুল সংলগ্ন রাস্তার ধার থেকে প্রিসাইডিং অফিসারের সাক্ষর করা বৈধ ব্যালট পেপার উদ্ধার। ঘটনা জানার পরই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, গণনাকেন্দ্রের ভিতর থেকে কীভাবে রাস্তা ধারে পৌঁছল ওই ব্যালট পেপার তা নিয়েই। এরপরই এই মামলায় বৃহস্পতিবার বেলা দুটোয় স্থানীয় বিডিও ও পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সঙ্গে এও নির্দেশ দেন, কীভাবে ভোটের বৈধ ব্যালট পৌঁছল রাস্তায় তাও জানাতে হবে। যে স্কুলে এই ভোট হয়েছে সেখানে যারা দায়িত্বে ছিলেন, দিতে হবে তাদের তালিকাও। একইসঙ্গে আদালতে কাউন্টিং সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিয়ো ফুটেজও হাজির করার নির্দেশ।
অভিযোগ, ভোট গণনার আগে জাঙ্গিপাড়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল উত্তেজনা। যে গণনা কেন্দ্রের পাশ থেকে মিলেছে ব্যালট পেপার, সেই ডি এন হাই স্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিএম এবং আইএসএফ-এর কাউন্টিং এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেধড়ক মারধরের সঙ্গে করা হয় গাড়ি ভাঙচুর। আক্রান্ত কর্মী সমর্থকরা প্রথমে সিপিআইএম অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানায়। পরে তাদের জাঙ্গিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ফুরফুরা পঞ্চায়েতর প্রাক্তন প্রধান এবং বর্তমান জেলা পরিষদের প্রার্থী সামিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধেও ওঠে লাঠি চার্জের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম গণনা চলাকালীনই মঙ্গলবার অভিযোগ করেছিলেন, সিপিএমকে হারাতে জোর করে ব্যালটে কারচুপি করছে তৃণমূল। এছাড়া গণনার দিনও দিনভর ব্যালট পেপার নিয়ে অনিয়ম নজরে এসেছে। কোথাও ব্যালট বক্স চুরি করে পালানোর চেষ্টা করলেন প্রার্থী তো কোথাও আবার ব্যালটে ঢেলে দেওয়া হল কালি। এদিন জাঙ্গিপাড়ায় প্রিসাইডিং অফিসারের সই করা এক বান্ডিল মেলায় সিপিএম-এর তরফ থেকে করা অভিযোগে সিলমোহর পড়ল। কারণ, এই বান্ডিলের প্রতিটি ব্যালটে ভোট দেওয়া হয়েছিল সিপিএমকে।