মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা চলাকালীন নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রের বাইরে।একের পর এক বোমা আর গুলি চলার শব্দ ভেসে আসতে থাকে চারদিক থেকে। এই অশান্তির জেরে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুইজন আইএসএফ সমর্থক বলে দাবি। তৃতীয়জন সাধারণ এক গ্রামবাসী। এই ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও যোগ নেই। এদিকে সূত্রে খবর, ভাঙড়ের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসকের তরফে কমিশনের কাছে আলাদা করে কিছু জানানো হয়নি। তাছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেও অশান্তির কোনও অভিযোগ কমিশনের কাছে আসেনি। তাই কমিশনও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি।
এদিকে মঙ্গলবারের ভাঙড়ের এই ঝামেলা এবং মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে। ভাঙড়ের মৃত্যুর ঘটনায় যাতে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্কও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই ইস্যুতে বুধবার মুখ খোলেন। এদিকে ভাঙড়ে তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্বে থাকা শওকত মোল্লাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে। সিট গঠন করে ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি। দোষীদের যাতে দ্রুত চিহ্নিত করা হয়, সেই দাবিও তোলেন শওকতের। এমন অশান্তি আগে কখনও ভাঙড়বাসী দেখেনি, বলছেন তৃণমূল নেতা। ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, মঙ্গলবারের ঘটনার যাতে সিবিআই তদন্ত করানো হয়।