একে অপরকে চকোলেট খাইয়ে’মধুরেন সমাপয়েৎ’পানিহাটির ঘটনায়

‘মধুরেন সমাপয়েৎ’।  এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেই হচ্ছে পানিহাটির ঘটনায়।  প্রকাশ্য রাস্তায় কাউন্সিলরের সঙ্গে মারধরের ঘটনায় এবার  দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে তরুণীকে আলিঙ্গন করে ও মিষ্টি মুখ করিয়ে  নিজেদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পানিহাটিতে এক তরুণীর সঙ্গে মারপিটে জড়ান ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী। পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবতলা ঘাটের কাছে শ্রাবন্তী রায় বাইকে করে যাচ্ছিলেন। ওই তরুণী তখন স্কুটারে করে উল্টোদিক থেকে আসছিলেন। ওই মহিলার স্কুটার এসে লাগে শ্রাবন্তীর বাইকে। শুরু হয় দুজনের বিতণ্ডা।  ঝগড়া চলাকালীন কাউন্সিলার গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, ওই তরুণীকে কাউন্সিলর একটি চড়ও মারেন। তখনই ওই তরুণী কাউন্সিলরের চুলের মুঠি ধরে রীতিমতো মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মারপিট। এই ঘটনায় কাউন্সিলর তাঁর কন্যাসম একটি মেয়েকে রাস্তায় শাসন করতে গিয়ে বেধড়ক মারও খান। যদিও পরে স্থানীয়রা এসে ছাড়িয়ে নেন তাঁদের।এই ঘটনার ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে পানিহাটি সব বঙ্গ রাজনীতিতেও।
এদিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে দলের কাউন্সিলরের এহেন মারমুখী চেহারা তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব মোটেও ভালোভাবে নেননি বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এরপর দলের তরফ থেকে নাকি ঘটনাটি মিটিয়ে নিতে বলার নির্দেশও আসে। যেমন বলা তেমন কাজ। অবশেষে কাউন্সিলর শ্রাবন্তী এবং ওই তরুণীকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্ত গণ্ডগোল মিটিয়েও নেন। এরপর একে অপরকে ক্যাডবেরি খাইয়ে নিজেদের সম্পর্ককে মধুর করার অঙ্গীকারও নিতে দেখা যায় তাঁদের। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানান,যা হয়েছে ঠিক হয়নি। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে এখন তাঁরা নিজেদের এই সব ভুল মিটিয়ে ফেলতা চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 13 =