মণিপুর ইস্যুতে বাদল অধিবেশনের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এদিন বিরোধী দলের সদস্যরা একদিকে যেমন কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান, তেমনই বিরোধীদের হই-হট্টগোলে লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভার অধিবেশনও স্থগিত হয়ে যায়।
এদিন বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিতে উঠলে এনডিএ সাংসদরা মোদী-মোদী স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাল্টা বিরোধী জোটের সমর্থকেরা ইন্ডিয়া নাম নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। যার জেরে জয়শঙ্করের বক্তৃতা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এদিন রাজস্থানে মোদির জনসভাকে ইস্যু করে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে কটাক্ষের সুরে জানান, প্রধানমন্ত্রী ‘দলীয় জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন অথচ সংসদে আসার সময় নেই।’ সংসদের ইতিহাসে ‘দেশ এর থেকে অন্ধকার সময় দেখেনি’ বলেও কটাক্ষ করেন খাড়গে।
এরপরই বিরোধীরা রাজ্যসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করেন এবং দুপুর ৩টে পর্যন্ত রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে লোকসভার অধিবেশন এদিন সারা দিনের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
মণিপুর ইস্যুতে সংসদে হট্টগোল এবং বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘বিরোধীরা আলোচনার দাবি করছে এবং আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’ একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এও জানান, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীরা যতক্ষণ চাইবে ততক্ষণ আলোচনা চলতে পারে।‘ এরই পাশাপাশি তিনি এ প্রশ্নও তোলেন, ‘কেন তাঁরা চান প্রধানমন্ত্রী প্রথমে কথা বলুন? প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সংসদের বাইরে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রয়োজনে ভিতরে কথা বলবেন। তিনি আলোচনার পর কথা বলতে পারেন। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই হট্টগোল করছেন।’