নানা ধরনের দুর্নীতিতে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত থেকে মানিক ভট্টাচার্য। এই মুহূর্তে এই সব হেভিওয়েটদের অনেকেই সদ্য জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছিল পার্থ এবার জামিন পেতে পারেন কি না তা নিয়ে। এই জল্পনার মধ্যেই প্রকাশ্যে এল বড় খবর। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পার্থকে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই।
এই মর্মে সোমবার বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতের। মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে পার্থকে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে পেশের নির্দেশ। পার্থর সঙ্গেই অয়ন শীলকেও আদালতে পেশ করার আবেদন জানায় সিবিআই। অয়নকেও আদালতে পেশ করার নির্দেশ।
সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত মামলা। সেখানে অনুব্রতর জামিনের প্রসঙ্গ তোলেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী। বলেন, ‘২ বছরের উপর হেফাজতে। মনে হয় না যে এখন তাঁর সমর্থনে আর একজনকেও পাওয়া যাবে।’ সেই শুনানিতে বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় প্রশ্ন তোলেন জামিনে মুক্ত হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার পুরনো পদে পুনর্বহাল হবেন না তো? হতে পারে জামিন পাওয়ার পর আবার পুনর্বহাল করা হবে। সাম্প্রতিক উদাহরণ তো আমরা বীরভূমেই দেখতে পাচ্ছি। এ কথা শুনেই পার্থর তরফে জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর থেকে বেশি ক্ষমতাবান। ফলে, সিবিআইয়ের এই নয়া পদক্ষেপে পার্থর সমস্যা বাড়ছে ছাড়া কমছে না।