প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আগেই তাঁর প্রতিবেশী হয়েছিলেন আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সঞ্জয় রায়। মঙ্গলবার থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডেই ঠাঁই হল আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষেরও। ফলে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এখন থেকে একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন পার্থ, সঞ্জয় এবং সন্দীপ।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পাশাপাশি হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষ সহ চার জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন চার জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। কারণ সিবিআই তাঁদের আর নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদনই জানায়নি।
আদালতের নির্দেশের পর এদিন বিকেলেই সন্দীপ ঘোষ সহ চার জনকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়। সন্দীপকে রাখা হয় বহু চর্চিত পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে। সাধারণত হাই প্রোফাইল এবং কুখ্যাত অনেক বন্দিকেই এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন সেলে রাখা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহুদিন ধরেই এই ওয়ার্ডের ১১ নম্বর সেলে বন্দি রয়েছেন। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে রাখা হয়েছে পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ১১ নম্বর সেলে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ওই ওয়ার্ডেরই ৭ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে।
সঞ্জয়ের মতোই সন্দীপ ঘোষের উপরেও সর্বক্ষণ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ৷ তাঁর উপর সর্বক্ষণ নজর রাখবেন দু জন কারারক্ষী৷ পাশাপাশি সিসিটিভি-র নজরদারিও থাকছে৷ এ দিন জেলে নিয়ে যাওয়ার পর দু বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে সন্দীপের৷ তিনি একেবারেই সুস্থ আছেন বলে প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর। সন্দীপের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়ার তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন জনকে জেলের ২৩/৪৪ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।