পাটুলিতে ক্যানসার আক্রান্ত সিপিএম কর্মীকে মারধর। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে পাটুলি থানা ঘেরাও করা হয় সিপিএমের তরফ থেকে। যার নেতৃত্ব দেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় এই পাটুলি থানার অন্তর্গত ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পথ সভা চলছিল। অভিযোগ, সুজয় মিত্র নামে এক তৃণমূল কর্মী সেই সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার প্রতিবাদ করেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, সভা শেষে ফের সিপিএম কর্মী অভীক চৌধুরীর সঙ্গে সুজয় মিত্রের বচসা বাঁধে। অভিযোগ, তখনই ক্যানসার আক্রান্ত অভীক চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। লাগাতার হেনস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে চলে হুমকি, ভয় দেখানোর পালা। তারই প্রতিবাদে সরব সিপিএম। শনিবার সকালে পথে নেমে আন্দোলনে শামিল কর্মী-সমর্থকরা। পথ অবরোধও করেন তাঁরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে পাটুলি থানা ঘেরাও করেন সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সৃজন সহ চার বাম নেতা পাটুলি থানায় ঘটনার প্রতিবাদে ডেপুটেশনও দেন।
সৃজন ভট্টাচার্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, ‘চূড়ান্ত অমানবিক। ভয়ে তৃণমূলের হাঁটু ঠকঠক করে কাঁপছে। তা না গসে কেউ ক্যানসার আক্রান্তকে মারধর করে? এই ঘটনায় আমরাই সুবিধা পাব। ভোট বাড়বে আমাদের।’ একইসঙ্গে এও জানান, নির্বাচন কমিশনকে কাউকে কারও প্রতি দয়া দেখাতে বলছি না। আমাদের হয়েও কারও কিছু করতে হবে না। নিরপেক্ষভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। মানুষ তার ভোট নিজে দিক। তারপরে দেখা যাবে। সেই জায়গা থেকে কেউ নড়াচড়া করে তাহলে প্রতিরোধ হবে। এটা যাদবপুর। মাথায় রাখতে হবে। যাদবপুর তার নিজের মেজাজে জবাব দেবে।’
যদিও ক্যানসার আক্রান্ত মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভোটের জন্য সিপিএমকে মারধরের কোনও প্রয়োজন নেই। খবরে থাকার জন্য সিপিএম এসব করছে বলেই দাবি তৃণমূলের।