ফুরফুরা শরিফ থেকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে এ বার ‘ব্রিগেড চলো’র ডাক পীরজাদাদের। আগামী ২৬ এপ্রিল ব্রিগেডে সেই সভা হওয়ার কথা।
সংশোধিত ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। বিরোধিতায় পথে নেমেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাতেও। দিন কয়েক ধরে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে। তবে রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে। বাদ নেই ফুরফুরাও। সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সভা আয়োজন করতেও দেখা গেছে পীরজাদাদের। এমনকী শুক্রবারও উজলপুকুর মাঠে প্রতিবাদ সভা করে ফুরফুরার একাংশ। তবে সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না তহ্বা সিদ্দিক্কি বা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শুক্রবারের সভা থেকেই ব্রিগেডে সমাবেশ করার ডাক দেওয়া হয়। মুসলিম ল’ বোর্ডের তরফে এই সমাবেশ আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়। ফুরফুরা পিরজাদা মেহেরাব সিদ্দিকি বলেন,‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের ডাকে ২৬ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ হবে। আমরা পিরজাদারা সমর্থন করেছি।’ তিনি আশাবাদী, সে দিন ব্রিগেডে জনপ্লাবন ঘটবে। মেহেরাবের কথায়, ‘ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে এবং ভারতের সংবিধান রক্ষায় এই সমাবেশ হবে।’ একই সঙ্গে ২৬ এপ্রিল যাঁরা ব্রিগেড আসবেন, তাঁদের সংযত থাকার বার্তা দিলেন তিনি। কারও ফাঁদে পা না-দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়।
২৬ এপ্রিলের ব্রিগেড সমাবেশে ত্বহা, নওশাদ বা তাঁর দাদা পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ফুরফুরার পিরজাদারা সকলেই সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন নওশাদও। ওয়াকফ আইন এখন দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। তবে সুপ্রিম কোর্টের উপর আস্থা রেখেও আশঙ্কায় রয়েছেন তহ্বা। তাঁর আশঙ্কা,‘বাবরি মসজিদের মতো রায় হবে না তো!’