কোনও চিটফান্ড নয়। পোস্ট অফিস থেকে গায়েব টাকা। বারো লক্ষ টাকা গায়েবের ঘটনায় বিরক্ত আদালত। সিআইডি-কে নির্দেশ দেওয়া হল তদন্তের। এরই পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ভর্ৎসনার সুরে জানান, ‘লোকের খাটনির টাকা জমাতে টাকা রাখছে। আর তা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কিছুই করছে না। সরকারি চাকুরেদের টাকা পোস্টঅফিস থেকে এই ভাবে লোপাট হয়ে গেল আর পুলিশ কিছু না করলে মানুষের ভরসা পোস্ট অফিস থেকে উঠে যাবে।’
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানির সময় বিচারপতি এ প্রশ্নও তোলেন বলেন, ‘গত দেড় বছরে জামালপুর থানা কিচ্ছু করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে যদি এই ভাবে মানুষ প্রতারিত হয় তাহলে মানুষ যাবেন কোথায়?’ সঙ্গে বিচারপতি এও বলেন, ‘কেউ কোনও দায়িত্ব নেবে না। একটু কঠিন কাজ হলে সবাই দায় এড়িয়ে যাবে।’
এরপরই বিচারপতি এদিন এই ঘটনায় তদন্তের ভার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের হাত থেকে এডিজি সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করেন। এই মামলার আগের দায়িত্বে থাকা দুই আইও-কেও ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন এডিজি সিআইডিকে। সঙ্গে জানান, ওই দুই অফিসার এই তদন্তে কী কী পদক্ষেপ করেছেন, তাঁদের থেকে ব্যাখ্যা নিতে হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করতে হবে পুলিশকে।