টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই তালিকায় রয়েছে কাটোয়াও। জমা জলে রীতিমতো বিপর্যস্ত কাটোয়া শহরের জনজীবন। বেশিরভাগ বাড়ির নিচের তলায় ঢুকেছে জল। ন্যাশনাল পাড়া, স্টেডিয়াম পাড়া ও প্রান্তিক পাড়ার প্রতিটি বাড়ি জলমগ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকমতো না থাকার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাড়ির একতলায় কোমর পর্যন্ত জল দেখা যাচ্ছে। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করুই রোড গাফুলিয়া ফরে নদীর ব্রিজ জলমগ্ন। ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে জল। এই প্রসঙ্গে কাটোয়ার এসডিও অর্চনা ওয়াংখেড়ে জানান, ‘কাটোয়ায় সেভাবে কোনও সমস্যা নেই। পুরসভা পদক্ষেপ করছে। আমি নিজে পরিস্থিতি দেখছি।’ বাঁকুড়ায় গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মানকানালী সেতু ভেঙে পড়েছে। ফলে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ গঙ্গাজলঘাটি ব্লক এলাকার একটা বড় অংশের মানুষ বিস্তর বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার মানুষের বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। ২০২১ সালে প্রথমবার ভেঙে পড়ার পর ঠিক এক বছর আগে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করে তা সংস্কার করা হয়। সংস্কারের এক বছরের মধ্যে ফের তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় জানান, ‘প্রায় ৮৫, ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে ওই সেতু তৈরি করা হয়েছিল। এই সেতু সংস্কারের জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি।’
এদিকে জলমগ্ন হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। জগৎবল্লভপুর ১ নম্বর ও পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা জলে ডুবে যাওয়ায় সমস্যায় দুই পাড়ের স্থানীয় মানুষজন। গত দু’দিনে দামোদরের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। রাস্তার উপরে জল উঠে যাওয়ায় সমস্ত রাস্তা প্রায় বন্ধ। সাধারণ মানুষকে নদী পারাপার করতে বিস্তর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের একাধিক অংশে জল জমেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬, ৩২, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। দ্রুত যাতে জল নামে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। বনগাঁর রেলবাজার, চাঁপাবেড়ে, জয়পুর, দীনবন্ধুনগর, খেদাপাড়া এলাকা থেকে জল সরানোর জন্য উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ডুবেছে তারাপীঠের মহাশ্মশান।