মদন মিত্রের পুত্রবধূর সঙ্গে জয়ন্তর ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে মুখ খুললেন মিত্র বাড়ির বড় বৌমা

কামারহাটি এলাকার ‘গ্যাংস্টার’ জয়ন্ত সিং-এর কীর্তি যখন থেকে সামনে আসতে শুরু করছে, তখন থেকেই জড়িয়ে যাচ্ছে বিধায়ক মদন মিত্র ও তাঁর পরিবারের নাম। মদন মিত্রের সঙ্গে জয়ন্তের একাধিক ছবি ঘুরতেও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সোশ্য়াল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে জয়ন্ত সিংয়ের ক্লাবের ফেসবুক পেজে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গিয়েছে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্র স্টেজে জয়ন্ত সিংয়ের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর গলায় হাত দিয়ে ছবিও তুললেন। শুধু তাই নয়, মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্র বললেন, ‘এই তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবকে যে ভীষণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে হল এই জয়ন্ত সিং।’ প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক ভিডিয়ো। মদন মিত্রের ছেলে শুভদীপ মিত্রের একেবারে পারিবারিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে জয়ন্ত সিংকে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জয়ন্ত সিং কেক কাটছেন, পাশে মদন মিত্রের পত্রবধূ মেঘনা মিত্র। তিনি কেক কেটে তাঁকে নিজের হাতে খাওয়ালেন। পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মদনের ছেলে। তাঁকেও পরে কেক খাওয়ান জয়ন্ত।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ২০১৬ সালে, মদন মিত্র যখন জেলে, তখন মদন মিত্রের প্রচারের কাজকর্ম সামলাতেন বড় বউমা স্বাতী মিত্র। কামারহাটিতে ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে দেখা যেত তাঁকে। সেই সময় এই জয়ন্ত সিংকে তাঁর দরকার পড়েছিল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে কামারহাটিতে। এই প্রসঙ্গে স্বাতী জানান, ‘পুরো পরিবার ছিল সেই যুদ্ধে। স্বামী, শাশুড়ি মাও সঙ্গে ছিলেন। আমার কাছে সবটা ছিল নতুন। রাজনীতি সম্পর্কে কোনও ধারনা ছিল না। জয়ন্ত সিং-কে আমি চিনতাম না। কারণ আমার তাদের নিয়ে কোনও কাজ ছিল না।’ সঙ্গে এও জানান,‘আমার পাশে সে দিন অনেকে হেঁটেছিল। কে জয়ন্ত সিং আমি জানি না।’ আর এখানেই প্রশ্ন যে তাহলে মেঘনার সঙ্গে দেখা গেল কেন তা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে স্বাতী জানান, ‘কেউ যদি পাশে থাকেও, সে যে পরে ক্রিমিনাল হয়ে যাবে, আমি কী করে জানব। জেনে যদি কেউ করে থাকে, তাহলে সেটা অন্যায়।’ একইসঙ্গে স্বাতী মিত্র এও জানান, তিনি কখনও রাজনীতিতে থাকতে চাননি, আগামিদিনেও চান না। স্বাতী সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করেন। জয়ন্ত সিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ওপর আমার ভরসা আছে। আশা করি এবার আর জেল থেকে বেরতে পারবে না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × one =