শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ফিজিক্সওয়ালাহ্ (PW) সারা দেশ থেকে জাতীয় বৃত্তি প্রবেশিকা পরীক্ষা (PWNSAT) ২০২৪-এ শীর্ষস্থান অর্জনকারী ১,৫৮১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করল। দুর্গাপুরে, ফিজিক্সওয়ালাহ্-র তরফ থেকে ৪৪ জন সফল শিক্ষার্থীকে সম্মান জানানো হয়। শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে, ফিজিক্সওয়ালাহ্ এই শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাগত সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে সম্মাননা অনুষ্ঠানে মোট ২.২ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার প্রদান করে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই PWNSAT ২০২৪-এর সমাপ্তি হল। ১৫.৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে, এটি দেশের একটি উল্লেখযোগ্য বৃত্তি উদ্যোগ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ছিল এই শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, নিষ্ঠা এবং অর্জনকে উদযাপনের একটি উপলক্ষ্য। এটি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের একত্রিত করে অসাধারণ মেধাকে স্বীকৃতি দেয় ও পুরস্কৃত করে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, PWNSAT ২০২৪-এর বৃত্তি তহবিল, যার পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ফিজিক্সওয়ালাহ্ এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে যেখানে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির বোঝা ছাড়াই কোচিংয়ে প্রবেশের সুযোগ প্রদান করে। PWNSAT ২০২৪-এর লক্ষ্য হল JEE এবং NEET-এর পরীক্ষার্থীদের যোগ্য শিক্ষক, উপযুক্ত সম্পদ এবং শেখার পরিবেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া। আর্থিক সহায়তার বাইরেও এই বৃত্তি কর্মসূচিটি আবাসন সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান করে, যা মেধাবী শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এই বছর, ৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫০% বৃত্তি পেয়েছে।
PW-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আলখ পাণ্ডে এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা যখন আমাদের সফর শুরু করেছিলাম, তখন লক্ষ্য ছিল সহজ – শিক্ষাকে সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করা। PWNSAT ২০২৪ হল আমাদের সেই প্রচেষ্টার একটি অংশ, যাতে করে আর্থিক সামর্থ্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এই ২৫০ কোটি টাকার বৃত্তি তহবিল শুধু সংখ্যা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়তে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতীক। আজ আমরা যে ১,৫৮১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করছি, তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে, এবং এটি তাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আমাদের পদ্ধতি। আসল সাফল্য তখনই আসবে যখন তারা তাদের নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করবে এবং অন্যদেরও একই পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, ফিজিক্সওয়ালাহ্ ভারতের শিক্ষায় প্রবেশের পথকে পুনর্নির্ধারণ করে চলেছে এবং শিক্ষাকে সমতাপূর্ণ, সাশ্রয়ী ও ক্ষমতায়নমূলক করার লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করছে।