শুরু হয়েছে বর্ষা। বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলে বাড়ে সাপের উপদ্রবও। এর মধ্যে অনেক বিষাক্ত সাপও থাকে।যা কামড়ালে মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু এমন কিছু গাছ রয়েছে যা দেখে ভয় পায় সাপ। আর সাপ বিষাক্ত হোক বা না হোক, যে কেউই সাপ দেখলেই ভয় পেয়ে যায়। অনেক প্রজাতির সাপ আছে। পৃথিবীতে এমন মানুষ কমই আছে যে সাপের মুখোমুখি হতে চায়। ফলে বাড়িতে সাপের প্রবেশ রুখতে কিছু এন কিছু গাছ রয়েছে যা বাড়িতে লাগালে সাপের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
সাপকে বাড়ি থেকে দূরে রাখারসবথেকে কার্যকরী হল কার্বলিক অ্যাসিড। তা বাড়িতে থাকলেও সাপের প্রবেশ ঘটে না। আরও একটি সাপ তাড়ানোর উপায় হল গাছের সাহায্য নেওয়া।
এর মধ্যে প্রথম গাছের নাম হল সর্পগন্ধা। এর নামেরও একটি সাপ আছে। এই গাছের শিকড় হলুদ বা বাদামী। এছাড়াও, এর পাতাগুলি উজ্জ্বল সবুজ রঙের হয়। কথিত আছে এই গাছের গন্ধ এতটাই খারাপ যে সাপ গন্ধ পেলেই পালিয়ে যায়।
মুগওয়ার্টের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। এই গাছেরও গন্ধ খুবই বেশি। এই গাছের দুর্গন্ধ যে সাপ এড়িয়ে যায়। এই উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ অনেক খাটনির ও খরচ সাপেক্ষ। এই কারণে তাদের বাড়িতে খুব কমই দেখা যায়।
তালিকায় তৃতীয় নাম রসুন গাছ। খাবারে রসুন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর গাছও খুব উপকারী। এতে রয়েছে সালফোনিক অ্যাসিড। এর গন্ধ খুব শক্তিশালী। সাপ যা পছন্দ করে না। এই গাছ বাড়িতে বসাতে পারলে সাপ ঢোকা বন্ধ হবে।
সাপের প্রবেশ আটকাতে বাড়িতে পেঁয়াজ গাছও লাগাতে পারেন। এতে রসুনের মতো সালফোনিক অ্যাসিডও রয়েছে। এই অ্যাসিডের কারণে পেঁয়াজ কাটলে চোখের জল বেরিয়ে আসে। সাপ এই অ্যাসিড একেবারেই পছন্দ করে না।
অনেকেই চায়ের জন্য লেমন গ্রাস ব্যবহার করেন। এর চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু এই ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ থেকে যে গন্ধ আসে তা সাপের পছন্দ নয়। এমনকী এর গন্ধে সাপের পাশাপাশি মশারাও পালায়।